স্টাফ রিপোর্টার, পেকুয়া:

সারাদেশে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে যখন পাসের হার কমেছে, তখন কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় তিনটি কলেজে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। এর মধ্যে শহীদ জিয়া বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট ও শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের ফলাফল তুলনামূলক ভালো হলেও রাজাখালী ফৈয়জুন্নেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজে দেখা দিয়েছে ফলাফল বিপর্যয়।

সদ্য ঘোষিত ফলাফলে সারাদেশে গড় পাশের হার ৫৮.৮৩ শতাংশ, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে ৫২.৫৭ শতাংশ এবং কারিগরি বোর্ডে ৬২.৬৭ শতাংশ। পেকুয়ার তিনটি কলেজের মধ্যে শহীদ জিয়া বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটে পাশের হার ৮৪.৯৫, শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজে ৬২.০২ এবং রাজাখালী ফৈয়জুন্নেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজে মাত্র ৫০ শতাংশ।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, শহীদ জিয়া বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটে ৯৩ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৭৯ জন, শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজে ৫৮০ জনের মধ্যে ৩৫৬ জন এবং রাজাখালী ফৈয়জুন্নেছা স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৮৫ জনের মধ্যে ৪১ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।

পেকুয়া শহীদ জিয়াউর রহমান উপকূলীয় কলেজের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মো. জোবায়ের বলেন, “চট্টগ্রাম বোর্ডে সার্বিক ফলাফল আশানুরূপ না হলেও আমাদের কলেজের ফল কিছুটা ভালো হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও ভালো ফলাফলের জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সমন্বয়ে কাজ করতে হবে।”

রাজাখালীর বাসিন্দা মো. ইব্রাহিম বলেন, “রাজাখালী ফৈয়জুন্নেছা স্কুলকে কলেজে রূপান্তর করা হলেও শিক্ষার মান নিয়ে এখনো প্রশ্ন থেকে গেছে। ফলাফল বিপর্যয়ের দায় পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকেরা এড়াতে পারেন না।”

অন্যদিকে, শহীদ জিয়া বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের সাবেক শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম জানান, “দেশব্যাপী কারিগরি বোর্ডে ফলাফল নিম্নমুখী হলেও আমাদের ইনস্টিটিউট সন্তোষজনক ফল ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। শিক্ষকরা আন্তরিকভাবে পরিশ্রম করেন বলেই এটি সম্ভব হয়েছে।”

শিক্ষাবিদরা মনে করেন, পেকুয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফলাফলের এই বৈষম্য শিক্ষার মানোন্নয়নে আরও মনোযোগী হওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছে।